সোনারগাঁ উপজেলার বারদী বাজারের পশ্চিম-উত্তর কোণে লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম অবস্থিত । প্রতি বছর উনিশ জৈষ্ঠ এখানে হিন্দু সম্প্রদায়ের মহাপুরুষ লোকনাথ ব্রহ্মচারীর তিরোধান উৎসবও সপ্তাহ ব্যাপী মেলা বসে । তার এই মহাকাল প্রয়াণের দিনটিকে শ্রদ্ধা দিয়ে স্মরণ করার জন্য এই উৎসব মেলার আয়োজন। এই তিরোধান উৎসবে ভারত, নেপাল, ভুটান ও শ্রীলঙ্কাসহ দেশের লক্ষাধিক লোকনাথ ভক্ত বারদী আশ্রমে এসে সমবেত হন । জৈষ্ঠের উনিশ তারিখ আশ্রমের চৌচালা ছাদের উপর থেকে ভক্তদের ছুঁড়ে দেয়া বাতাসা মিষ্টান্ন ও তা কুড়ানোর উচ্ছ্বল আয়োজন হয় যা “হরি লুট” নামে পরিচিত। এছাড়া দিন ব্যাপী চলে গীতা পাঠ, বাল্যভোগ, লোকনাথের জীবন বৃত্তান্ত পাঠ, রাজভোগ, প্রসাদ বিতরণ ও আরতী কীর্তনসহ ধর্মীয় নানা অনুষ্ঠান।। মূল আশ্রমের পেছনে বিশাল পাঁচতলা ভবনের যাত্রীনিবাস । পশ্চিমে আরও দুইটি, ভক্ত ও দর্শণার্থীরা বিনা পয়সায় রাত্রিযাপন করেন। লোকনাথ ব্রহ্মচারী জীবিত থাকা অবস্থায় আশ্রমের পাশে কামনা সাগর ও জিয়স নামে পুকুর খনন করা হয়।পুকুরটিতে আশ্রমে আগত ভক্তরা স্নান করেন। বারদীর লোকনাথ আশ্রম এখন শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের তীর্থ স্থানই নয়, বরং ধর্ম-বর্ণ-জাতি নির্বিশেষে সকল ধর্মের, সকল মানুষের কাছে এক মিলন মেলা ।
প্রতি বছর কার্তিক মাসের প্রতি শনি এবং মঙ্গলবার এই আরতী দেয়া হয়।
অসাধারণ এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করতে সারা বাংলাদেশ থেকে মানুষ আসে।
প্রায় শ খানেক ফটোগ্রাফার (ন্যাশনাল/ইন্টারন্যাশনাল) দেখলাম ছবি তুলতে এসেছে।
বন্ধুরা মিলে একটা রাত কাটনোর সুন্দর একটা জায়গা।
আরতী শেষ হলে নিজ দায়িত্বে আলাদা আলাদা চুলা বানিয়ে এক উতালে সিদ্ধ ভাত রান্না করতে হয়,ফলমূল,দুধ তো থাকবেই। তাছাড়া হোটেল/রেষ্টুরেন্ট তো আছেই।খাওয়া দাওয়া শেষে বড় মঞ্চে সারারাত চলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সব চেয়ে মজার বিষয় ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এখানে আসে।আরতী শুরু হয় সন্ধ্যা থেকে।
যেভাবে আসবেন:
গুলিস্তান স্ট্যাডিয়ামের সামনে থেকে এসি বাসের(বোরাক) টিকেট কেটে মুগড়াপাড়া আসবেন। ভাড়া ৫৫ টাকা জনপ্রতি। তারপর সি এন জি তে বারদী। ভাড়া ৩৫ টাকা জনপ্রতি।
কুষ্টিয়ার পর বাংলাদেশে আরেকটি বৃহৎ সাংস্কৃতিক শহর এই বারদী
No comments:
Post a Comment