Saturday, August 19, 2017

Arial Beel - the abundance of nature, Munshiganj,Bangladesh | আড়িয়াল বিল,মুন্সিগঞ্জ | বাংলাদেশ


Arial Beel (Wetland) - a large water body of 136 square kilometers, situated south of Dhaka in between Padma and Dhaleshwari river. The beel's features change from season to season. Specially, during the winter time, it's diversity reaches a unique level.
A few days back, I have been there. On my way, I stopped at a local wholesale bazaar, called Shonabari in Srinagar upazila. This is a market that wraps up by 6 AM. All the fresh local fishes in the markets are sold in time. Dear readers, these fishes are local and grown in the hands of nature; not a single one is farmed, so you can guess the look, purity and taste of these fishes.       
It was almost 7 AM, but heavy fog was all around and I could barely see anything. Arial beel is a huge wetland. Tens of thousands of people live on this beel's natural resources. After the monsoon is over, the region is filled with diverse fruits and crops. Famers don't use any fertilizer here because the soil is very fertile.         
Md. Rafique, a famous farmer of the beel, was waiting for my arrival.  Finally, I reached the Arial beel. It was very interesting conversation with the prolific farmer.
“What's the area of this small water body?”
“Six acres.”
“How many small water bodies are here in the Arial beel?”
“Numerous. There are even large water bodies which have 200 acre area.”

Nothing has changed in the Arial beel. It's been the same for the last century with its unique diversity - it has been contributing endlessly, changing the fate of millions. Arial beel is the true representation of Bangladesh where we see enrichment of fish in the water body and guarantee of crops as soon as you sow seeds.
The entire Arial beel region is filled with thick silts. Though two big rivers flow right near the beel, the rainy season's water stays on to create seasonal floods. Since the two rivers have full water flow during the monsoon, the Arial beel gets waterlogged - the water can't drain out. The difference between Chalan and Arial beel is during dry season, most lands in Chalan beel remain dry, and the lands in Arial beel remain wet all the time.
The bigger ponds of the Arial beel are known as 'denga' which are literally gold mines of local fish. Fishes live here as these are their very own home. There are many stories about the thousands of dengas in the Arial beel.
10 AM in the morning- the fog was too much.




হাইওয়ের দু'পাশে বিস্তির্ণ সবুজ মাঠ। ঘণ্টাখানেক চোখ মেলে দেখতে দেখতে পৌঁছে গেলাম মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর বাজার। বাস থেকে নেমেই চোখে পড়ল অসাধারণ সৌন্দর্য। সব দো-চালা-চৌচালা টিনের বাড়ি। বর্ষায় প্রতিটি বাড়ির ঘাটেই বেঁধে রাখা চার-পাঁচটা নৌকা। যা বাড়ির সৌন্দর্য্য বাড়িয়েছে আরও। বাজারের কালভার্টের নিচ দিয়ে বিলের দিকে ছুটছে খালের পানি। সেদিকে তাকিয়ে মনটা বেশ ভরে উঠল।

ভেজবাজারে আগে থেকেই ট্রলার ঠিক করে রেখেছিল ও। উঠে পড়তেই ট্রলার ছেড়ে দিল মাঝি। ধীরে ধীরে ঢেউহীন এক পানির রাজ্যে প্রবেশ করতে লাগলাম। এগোতেই দেখি, টলটলে জল-জঙ্গলে মাথাচাড়া দিয়েছে শাপলা ফুল। আকাশজুড়ে সাদা মেঘের সঙ্গে সমান্তরালে উড়ছে অসংখ্য সাদা বক।

মূল আড়িয়াল বিলে ঢোকার আগে পানি বেশ ঘোলা। অল্প এগোতেই বদলে যেতে থাকে দৃশ্য। সবুজে সমারোহে বুদ হয়ে পড়ছে জোড়া জোড়া চোখ। নীলচে পানিতে স্পষ্ট হওয়া সাদা মেঘের প্রতিবিম্ব দেখে যে কেউ মায়াবী জগতের ভাবনায় ডুবে যেতে পারবে। বাঁক পেরোতেই চোখে পড়ে অদ্ভুত এক দৃশ্য! অগণিত কচুরিপানাকে একত্র করে তৈরি হওয়া নৌকা টানছেন এক লোক।

হঠাৎ করেই বৃষ্টি এসে গেল। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি মাথায় ঢুকে পড়ি কচুরিপানার জঙ্গলে। বিস্ময়ে বাকরুদ্ধ আমরা। 'কচুরিপানারও নৌকা হয়?'

আরেকটা বাঁক নিতেই শাপলা ফুলের অরণ্যে গিয়ে পড়ি। হিজল গাছের আঁকাবাঁকা প্রতিবিম্বর সঙ্গে মন গ্রাস করছে ভুবনচিলের পাখা গুটিয়ে বসে থাকা। এলোমেলো জলপথ পাড়ি দিতেই সামনে পড়ল টলটলে পানি।শীতল জলে যেন স্বর্গীয় স্বস্তি! উফ! নতুন জল, নতুন আবহাওয়া। ঠান্ডা লাগলে বিপদ হতে পারে! সবাই মিলে কিছুক্ষণ হুটোপুটি করে দ্রুতই উঠে পড়লাম।


ভ্রমণের আগে সতর্কতা

লাইফ জ্যাকেট পরে নৌকায় উঠবেন। পাখিদের ঢিল মারবেন না। পানিতে প্লাস্টিক জাতীয় পদার্থ ফেলবেন না।

 যেখানে খাবার পাবেন

খেতে চাইলে মাওয়া ঘাটেই খেতে পারেন। কাছে পিঠে কারও বাসা ছাড়া ভালো খাবার পাবেন না। সেজন্যে সঙ্গে করে খাবার নিয়ে যেতে পারেন। তবে হাঁসাড়া বাজার দিয়ে গেলে সকালের নাস্তাটা সেরে নিতে পারবেন। পরোটা-ভাজির নাস্তা বেশ সুস্বাদুও। সঙ্গে রসগোল্লার স্বাদ জিহ্বাতে লেগে থাকবে নিঃসন্দেহে।

কীভাবে যাবেন

ঢাকা থেকে আড়িয়াল বিলে এক দিনেই ঘুরে আসা যায়। ঢাকার গুলিস্তান থেকে 'ইলিশ' গাড়িতে করে মাওয়া ফেরিঘাটের দিকে রওনা দেবেন। মাঝপথে শ্রীনগরের ভেজবাজারে নেমে পড়বেন। সেখান থেকে ভালো একটা ট্রলার ভাড়া নিয়ে বিল ঘোরা যায়। গুলিস্তান থেকে বাসে ভাড়া পড়বে ৫০ থেকে ৭০ টাকা। এ পথের ভালো বাস ‘ইলিশ’ পরিবহন ও বিআরটিসি। আড়িয়াল বিলে বেড়িয়ে আবার গাদিঘাটে এসে ফেরার রিকশা পাবেন। তিন-চার ঘণ্টার জন্য ট্রলার ভাড়া নেবে পাঁচ থেকে সাতশ' টাকা। আর সারাদিনের জন্য পনেরোশ' টাকা।

No comments:

Post a Comment